প্রকাশিত: Thu, Mar 30, 2023 7:36 AM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 1:12 PM

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে অর্ধেক সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত লবণচাষিরা

রায়হান চৌধূরী : বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ করা হচ্ছে। আর এসব জমিতে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৩ লাখ ৮৫ হাজার  টন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিগত ৩ মাসে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ছয় লাখ সাড়ে ৭৪ হাজার  টন লবণ। যা গত মৌসুমের তুলনায় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন বেশি। গত বছর এ সময়ে উৎপাদন হয়েছিল প্রায় দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৮ টন।

কক্সবাজার লবণ ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মকছুদ আহমদ বলেন, এক সপ্তাহ আগেও জমিতে মণ প্রতি ৫০০ আর মিল পর্যায়ে ৫৭০ টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে জমিতে ২৬০ আর মিলে ৩৪০ টাকা। 

মিল মালিক সমিতির সভাপতি শামসুল আলম আজাদ বলেন, মাঠ থেকে আনা এক বস্তা (দুই মণ) লবণ আমরা ৭২০ টাকায় কিনছি। মণ প্রতি লবণের দাম পড়ছে ৩৬০ টাকা। কিন্তু চাষীরা পাচ্ছেন ২৫০ টাকায়। বাকি টাকা মধ্যস্বত্বভোগী ও দাদন ব্যবসায়ীদের পকেটে যাচ্ছে। তিনি জানান, নানা শর্তে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম দাদন নিয়ে চাষে নামেন চাষীরা। উৎপাদিত লবণ বিক্রির সময় মণপ্রতি ৪০-৫০ টাকা কমিশন নেন দাদনরা। ফলে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

বিসিক লবণ উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ পরিদর্শক ইদ্রিস আলী বলেন, পলিথিন প্রযুক্তিতে এখন ৬৬ হাজার একর জমিতে দৈনিক ১৭ হাজার টনের বেশি লবণ উৎপাদিত হচ্ছে। লবণের দাম আবার বাড়বে, সে আশায় চাষিরা উৎপাদন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিসিক তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলায় প্রান্তিক লবণচাষীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ২৩১। সহযোগী হিসেবে মাঠে কাজ করেন ৮৭ হাজার শ্রমিক। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান/ বসুনিয়া